ধর্ষণ

বর্তমানে আতঙ্কের আরেক নাম ধর্ষণ । এর ফলে মেয়েরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি সমাজও পিঁছিয়ে যাচ্ছে । ধর্ষণ
সমাজের ক্যন্সারের স্বরূপ । ক্যন্সার যেমন একটা মানুষ্কে ধ্বংস করে দেয় । ঠিক তেমনি ধর্ষণও একটা জাতির বিকাশ নষ্ট করে
দেয় । ধর্ষণের পিছনে কিছু কারণ থাকে ,আমরা যদি সেই সব নির্মূল করতে পারি তবেই ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব ।
ধর্ষণ

ধর্ষণের পিছনে কিছু কারণ নিম্মে উল্ল্যেখ করা হলোঃ-
মেয়েদের যথাযথ সম্মান না দেয়াঃ প্রতিটা ধর্মেই নারীর সম্মানের কথা বলা হয়েছে । ইসলামে নারীকে উঁচ্চু মর্যাদা দেয়া হয়েছে ।
নারীরা পরিবারের জন্য কল্যাণকর । কিন্তু আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজ নারীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তারা মনে করে নারী
শূধুই বিলাসিতার পণ্য । নারীকে শুধুই দেখা হয় ভোগ্য পণ্য হিসাবে । যে কারণের ধর্ষণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে ।
শিক্ষার অভাবঃ আমরা সবাই শিক্ষিত হলেও সুশিক্ষায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে কমই আছে । আমরা শুধুমাত্র
পাঠ্য বইয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। যার ফলে বাহিরের জ্ঞান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না । ফলে মেয়েদের কীভাবে সম্মান করতে
হয়, সেই বিষয় গুলো অজানায় রয়ে যায় । যে কারণে আমরা মেয়েদের বিষয়ে ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলি । যে কারণে একটা
মেয়ে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয় ।
ধর্ষণ

মেয়েদের মেয়ে হিসাবে দেখাঃ আমরা একটা মেয়েকে শুধুই মেয়ে হিসাবেই দেখে থাকি । কিন্তু মানুষ হিসাবে কখনই দেখি না ।
একটা মেয়েকে তার শারীরিক দিক দেখেই বিচার করে থাকি। ফলে তাদের প্রতি একটা নেগেটিভ ধারণা চলে আসে । আর এই
নেগেটিভ ধারোণা থেকেই একটা মেয়ে নিজের কাছের মানুষদের কাছেও ধর্ষণের স্বীকারর হয়ে থাকে।
মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াঃ আমাদের দেশে দিন দিন মাদকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে । যার কারণে মাদকাসক্ত
ব্যক্তির পরিমাণও বেড়েই চলেছে । তারা সমাজে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে । এদের সাধারণত হিতাহিত জ্ঞান থাকে না । এরা কাকে
কি ভাবে সম্মান করে হয় সেই জ্ঞান টুকু হারিয়ে ফেলে । যার ফলে মেয়েদের কীভাবে দেখা উচিত বা তাদের সাথে কী ভাবে
মিশা উচিত সেই জ্ঞানটুকু হারিয়ে ফেলে । এছাড়াও এদের সাথে কেঊ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় না । যার ফলে এদের মাঝে
একটা শারীরিক অতৃপ্তি থেকেই যায় । এই শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্যেও তারা ধর্ষণের মতন বাজে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে ।
নারী শিক্ষার অভাবঃ আমাদের দেশে নারীদের শূধু ঘরের ধরণী হিসাবে বেঁচে নেয়া হয় । ভাবা হয় তাদের দ্বারা অন্য কাজ করা
সম্ভব নয় । এ কারণে তাদের পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত করা হয় । যার ফলে একটা মেয়ে কখনোই বুঝে উঠে পারে না তাকে সমাজে
কীভাবে পা ফেলানো উচিত। কারা তাদের জন্য কল্যণকর , আর কারা তার জন্য অকল্যাণকর । যার কারণে ভুল মানুষের সাথে
মিশে তারা নিজেদের ক্ষতি করে ফেলে ।
ধর্ষণ

ধর্ষকের যথাযথ শাস্তি না দেয়াঃ একটা ধর্ষকের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত । কোনভাবেই যেন ধর্ষক বেঁচে
না যায় , সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ধর্ষক প্রভাবশালী কেউ হলে নিমিষেই বাঁচে যায় । যার কারণে তাদের
মাঝে অপরাধ করার প্রবণতা বাড়তেই থাকে ।
ধর্ষণ রোধের কয়েকটি উপায় নিম্মে দেয়া হলঃ
সচেতনতা বৃদ্ধিঃ ধর্ষণ রোধের জন্য আমাদের সচেতনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন । সামাজিক উন্নায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার মান
বাড়ানো উচিত ।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারঃ প্রত্যেক ধর্মেই ধর্ষণের ভয়াভহ দিকের কথা বলা হয়েছে । সবার মাঝে নিজ নিজধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত
করলেই ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব।
নারীদের সমানের চোখে দেখাঃ নারীরা অনেক সম্মানের । তাই তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে ।
সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানঃ ধর্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। তাদেরকে আইনের আওয়াতায় সমার্পণ করতে হবে । কোন ভাবেই
যেন তারা বেঁচে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
ক্যন্সার যেমন যথাযথ চিকিৎসায় ভালো হয় । ঠিক তেমনি ধর্ষণ যথাযথ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে রোধ করা যায় । একটি দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধর্ষণ রোধ করা খুব জরুরী। তাই আমাদের উচিত এই বিষয়ে আরো বেশি সচ্চার হতে হবে ।
ধর্ষকের যথাযথ শাস্তি না দেয়াঃ একটা ধর্ষকের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত । কোনভাবেই যেন ধর্ষক বেঁচে
না যায় , সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ধর্ষক প্রভাবশালী কেউ হলে নিমিষেই বাঁচে যায় । যার কারণে তাদের
মাঝে অপরাধ করার প্রবণতা বাড়তেই থাকে ।
ধর্ষণ

ধর্ষণ রোধের কয়েকটি উপায় নিম্মে দেয়া হলঃ
সচেতনতা বৃদ্ধিঃ ধর্ষণ রোধের জন্য আমাদের সচেতনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন । সামাজিক উন্নায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার মান
বাড়ানো উচিত ।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারঃ প্রত্যেক ধর্মেই ধর্ষণের ভয়াভহ দিকের কথা বলা হয়েছে । সবার মাঝে নিজ নিজধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত
করলেই ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব।
নারীদের সমানের চোখে দেখাঃ নারীরা অনেক সম্মানের । তাই তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে ।
সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানঃ ধর্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। তাদেরকে আইনের আওয়াতায় সমার্পণ করতে হবে । কোন ভাবেই
যেন তারা বেঁচে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
ক্যন্সার যেমন যথাযথ চিকিৎসায় ভালো হয় । ঠিক তেমনি ধর্ষণ যথাযথ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে রোধ করা যায় । একটি দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধর্ষণ রোধ করা খুব জরুরী। তাই আমাদের উচিত এই বিষয়ে আরো বেশি সচ্চার হতে হবে ।
