নারী শিক্ষা
নারীরা দেশের নাগরীক একটা সময় নারীকে শূধুই পরিবারের কাজের জন্য ব্যবহার করা হত। তারাও যে পুরুষের মতন সব কাজ
করতে পারে এইটা কল্পনাও করা হত না । তারাদের পড়াশূনা ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু বর্তমানে নারীরা বাড়ির বাহরেও
অনেক কাজ করতে সক্ষম । তারা চাঁদে পাড়ি জমিয়েছে । দেশের সব ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করছে।
দেশের উন্নায়নে সমান অবদান রাখছে। পড়াশূনায় ছেলেদের মতন সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ।
নারী শিক্ষার সুচনাঃ একটা সময় নারীরা পড়াশুনা করবে এইটা তাদের পরিবার ভাবতেই পারতো না । তারা ভাবত নারী হয়ে জম্ম
নিয়েছে শুধু পরিবারের কাজ করার জন্য সন্তান দেখা শূনা করার জন্য । কিন্তু এই ধারণাতে যিনি পরিবর্তন আনেন তিনি হলেন
বেগম রোকেয়া সাওকাত হোসেন । তিনি মুসলিম এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন । তাঁর পড়াশুনার বিষয়ে ছিলো অনেক
আগ্রহ । তিনি ভাইদের সহযোগীতায় বাড়িতে বসেই বিদ্যা অর্জন করতে থাকেন । এর পড় অল্প বয়সেই তাঁর বিবাহ হলে তার
স্বামীর সহযোগীতায় তিনি ঘরে বসে বিদ্যা অর্জন করতে থাকেন । তার স্বামী তাকে এই বিষয়ে ব্যপক সহযোগীতা করতে
থহাকেন । তিনি নিজে যেমন পড়াশূনা করতে থাকে ,ঠিক তেমনি বাকী মেয়েদেরও এই বিষয়ে উৎসাহ দিতে থাকে । এবং
মেয়েদের শিক্ষার প্রসার করতে থাকে ।
নারী শিক্ষা

আমাদের দেশের মেয়েরা শিক্ষিত হলেও অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মেয়েরা এখনো পিছিয়ে আছে । সেই সব পরিবারে
মেয়েদের অল্পবসয়েই বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় । মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে এখনো অসচেতনতা দেখা দেয় ।
মেয়েদের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য করোণীয় কিছু দিক নিম্মে তুলে ধরা হলঃ
বাল্য বিবাহ দূরীকরণঃ আমাদের দেশের মেয়েরা পিছিয়ে পড়ার কারণ অল্প বয়সেই তাদের বিবাহ দিয়ে দেয়া । এর ফলে
মেয়েদের পায়ে শিকল পড়িয়ে দেয়া হয় । যার ফলে তারা পড়া শুনা থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় ।তাই তাদের বাল্যবিবাহ রোধ করতে
পারলেই একটি মেয়ে শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারবে ।
সচেতনা বাড়াইতে হবেঃ নারী শিক্ষার জন্য আমাদের প্রথমেই যে বিষয় টা মাথায় রাখতে হবে সেইটা হল সকলের মাঝে
সচেতনতা বাড়াইতে হবে । যে সকল পরিবার এখনও মেয়েদের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে থাকে তাদের এই বিষয়ে সচেতন করতে
হবে । তাদের বুঝাইতে হবে মেয়েরা শিক্ষিত হলে তাদের জন্যই ভালো হবে। সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়বে । তাছাড়া একটা মেয়ে
যখন কর্মজীবী হয়ে স্বামীর বাড়িতে যাবে এবং স্বামীকে সাপর্ট করবে তখন মেয়েটার মর্যাদা অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যাবে । তারা
যেমন পরিবারের উন্নায়নের জন্য অবদান রাখতে পারবে ঠিক তেমনি দেশ ও সমাজের জন্য অবদান রাখতে পারবে ।
নারী শিক্ষা
ছেলে-মেয়ে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবেঃ আমাদের দেশে ছেলেরা পড়াশূনার ক্ষেত্রে যেমন সুযোগ পায় ,মেয়েরা তেমন
সুযোগ পায় না । মেয়েদের এখনোও বাঁকা চোখেই দেখা হয় । তাদের এই বৈষম্য দূর করতে হবে । ছেলেদের পাশাপাশি তাদেরও
সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে ।
বেগম রোকেয়া সাওকত হোসেন নারী ও পুরুষকে একটি গাড়ীর দুটি চাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন । একটা গাড়িকে এগিয়ে নিয়ে
যাওয়ার জন্য যেমন দুইটি চাকার প্রয়োজন ,ঠিক তেমনি একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই শিক্ষার
প্রয়োজন । নিম্মে নারী শিক্ষার কয়েকটি সুফল আলোচনা করা হলঃ
অর্থনৈতিক উন্নায়নঃ একটা সময় শূধু পুরুষরাই অর্থনীতিতে অবদান রাখতো । কিন্তু বর্তমানে নারীরাও এই বিয়য়ে অবদান রাখায়
পূর্বের চেয়ে অর্থনীতি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে ।
নারী শিক্ষা

সামাজিক উন্নায়নঃ নারীরা শিক্ষিত হওয়ার ফলে তাদের সন্তানরাও মানুষের মতন মানুষ হিসাবে বেড়ে উঠেছে। এই জন্যই
নেপোলিয়ান বলেছিলেন তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতী উপহার দিব। জাতী
শিক্ষিত হওয়ায় দেশের অনেক উন্নায়ন হয়েছে ।
আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান প্রয়োজন । তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে
যে নারীরাও যেন পুরুষের পাশাপাশি সমান অধিকার ভোগ করতে পারে । এবং সমান ভাবে শিক্ষিত হতে পারে ।